উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে লাইপজিগকে হারালো রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। শেষ ১০ মিনিটে গোল দুটি করেন ভালভেরদে ও আসেনসিও। ইউরোপ সেরার মঞ্চে টানা দুই ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে সবগুলোই জিতল কার্লো আনচেলত্তির দল।

রিয়াল মাদ্রিদ জিতলেও তাদের অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে।

ম্যাচ শুরু হতেই আক্রমণে মনোযোগী হয় লাইপজিগ। প্রথম ছয় মিনিটের মধ্যে গোলের উদ্দেশ্যে তিনটি শট নেয় তারা। এর মধ্যে পঞ্চম মিনিটে ক্রিস্তোফা এনকুনকুর জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ৩৪তম মিনিটে আবারও রিয়াল শিবিরে ভীতি ছড়ায় সফরকারীরা। তবে বাঁ দিক থেকে টিমো ভেরনারের ছয় গজ বক্সে বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি এনকুনকু। চার মিনিট পর দারুণ পজিশনে সতীর্থের ক্রস পেয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রিয়ালের আন্টোনিও রুডিগার।

প্রথমার্ধে রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল ভীষণ হতাশাজনক। এই অর্ধে গোলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের সমান ৬টি শট নিলেও একবারও সত্যিকার অর্থে ভীতি ছড়াতে পারেনি তারা। বিরতির পর খেলার গতি কমে আসে আরও। কেউই পারছিল না কোনো সুযোগ তৈরি করতে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারার কারণেই বেশি ভুগতে হচ্ছিল রিয়ালকে। তাই ৬৪তম মিনিটে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে তুলে মার্কো আসেনসিওকে নামান কোচ।

৭১তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় রিয়াল। ডান দিক থেকে রদ্রিগোর বাড়ানো পাস ডি বক্সে পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ফেদে ভালভেরদে, কাছে থাকা ভিনিসিউসও অবিশ্বাস্যভাবে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন। তারপরও সুযোগ ছিল, ফাঁকায় বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন আসেনসিও।

গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ৮০তম মিনিটে। বাঁ থেকে ভিনিসিউসের বাড়ানো পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি- ক্সে ঢুকে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে নেন ভালভেরদে।আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আসেনসিও। আরেক বদলি মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের পাস ডি-বক্সে বাইরে পেয়ে নিখুঁত জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে শাখতার দোনেৎস্ক ও সেল্টিক। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ইউক্রেনের দল শাখতার। সেল্টিকের পয়েন্ট ১। আর লাইপজিগের পয়েন্ট শূন্য।